দক্ষিণ লেবাননে বেশ কয়েকটি জায়গায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, এসব হামলায় হিজবুল্লাহর একাধিক স্থাপনা লক্ষ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংগঠনটির এলিট বাহিনী ‘রাদওয়ান ফোর্স’-এর একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে এ হামলা চালায় ইসরাইল।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, ওই প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সটি ব্যবহার করে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ ছাড়া হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত আরও কয়েকটি ভবন এবং একটি রকেট উৎক্ষেপণস্থলেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।

ভাষ্য অনুযায়ী, এসব স্থাপনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতার প্রস্তুতি চলছিল, যা ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে বিদ্যমান সমঝোতার লঙ্ঘন এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এর প্রভাব পড়তে শুরু করে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তেও। ওই সময় থেকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমান্তজুড়ে নিয়মিত গোলাগুলি ও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।

২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর বৈরুতে কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের অন্যান্য এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই হামলা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

ইসরাইলের দাবি, হিজবুল্লাহর হুমকি দূর করার উদ্দেশ্যে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরাইল লেবানন সীমান্ত এলাকায় পাঁচটি প্রধান স্থানে এখনো সেনা মোতায়েন রেখেছে।

এই সীমান্ত সংঘাতে উভয় পক্ষের হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে ইসরায়েল ও লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বহু মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল বারবার এই উত্তেজনা সম্পূর্ণ যুদ্ধের দিকে না গড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় যুদ্ধবিরতি থাকলেও ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ একে অপরকে কৌশলগত চাপের মধ্যে রাখতে সীমিত পরিসরে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখছে। সাম্প্রতিক বিমান হামলাকেও এ ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।